ফিফা কর্তৃক খেলার মান এবং পরিসংখ্যান বিবেচনা করে নিদিষ্ট একটা পয়েন্ট দেওয়া হয় ফুটবল দলকে। সেই পয়েন্টের বিবেচনায় সেরা ফুটবল দল এবং সেরা থেকে সর্বশেষ দল পর্যন্ত একটা তালিকা করা হয়। যেখানে রেংকিং এর বিবেচনায় দলের অবস্থান নির্ধারন হয়। ফিফা ফুটবল রেংকিং এর ১ নাম্বার স্থান দখল করে আছে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল দল আর্জেন্টিনা। সেরাদের সেরা হিসেবে লিওনেল মেসির দল বর্তমানে ১ নাম্বার পজিশনে আছে।
বাংলাদেশ দল ফুটবল রেংকিং এ কত নাম্বার পজিশনে আছে, তা হয়তো আমরা অধিকাংশ ফুটবল প্রেমিরাই জানিনা। ফিফা তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ দলের খেলার মান আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। এই পরিবর্তন ফিফা রেংকিং এ ও অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশ দল ফুটবল রেংকিং এ কত নাম্বার পজিশনে আছে তা জানবো। চলুন তাহলে জেনে আসি..
বাংলাদেশ দল ফুটবল রেংকিং
ফিফা রেংকিং এর শীর্ষ দশ (১০) দল
ফিফ রেংকিং এ সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে এক নাম্বার পজিশন দখল করে আছে বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেটিনা। তারপর ফ্রান্স তারপর পর্যায়ক্রমে বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইতালি এবং ক্রোয়েশিয়া।
ক্রমিক নাম্বার | দল | পয়েন্ট |
০১ | আর্জেন্টিনা | ১৮৮৯.০২ |
০২ | ফ্রান্স | ১৮৫১.৯২ |
০৩ | স্পেন | ১৮৩৬.৪২ |
০৪ | ইংল্যান্ড | ১৮১৭.২৮ |
০৫ | ব্রাজিল | ১৭৭২.০২ |
০৬ | বেলজিয়াম | ১৭৬৮.১৪ |
০৭ | নেদারল্যান্ডস | ১৭৫৯.৯৫ |
০৮ | পর্তুগাল | ১৭৫২.১৪ |
০৯ | কলম্বিয়া | ১৭৩৮.৭২ |
১০ | ইতালি | ১৭২৬.৩১ |
রেংকিং এ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান
ফিফা রেংকিং এ আলাদাভাবে শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশ এর দেশগুলোর রেংকিং খেয়াল করলে সর্বপ্রথমে আছে ভারত। তারপর মালদ্বীপ, নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।
দেশ | পজিশন |
ভারত | ১২৬ নাম্বার পজিশন |
মালদ্বীপ | ১৬৩ নাম্বার পজিশন |
নেপাল | ১৭৬ নাম্বার পজিশন |
ভূটান | ১৮৪ নাম্বার পজিশন |
বাংলাদেশ | ১৮৬ নাম্বার পজিশন |
পাকিস্তান | ১৯৭ নাম্বার পজিশন |
শ্রীলঙ্কা | ২০গ নাম্বার পজিশন |
এছাড়াও বাংলাদেশের নিচে অন্যান্য আরো ২১০ টি দেশ রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় তালিকা এবং পজিশন
বাংলাদেশের জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের কয়েকজন ছাড়া কাউকেই হয়তো আমরা চিনি না! কে কোন পজিশনে খেলে তাও হয়তো খুব একটা জানিনা। এই অধ্যায়ে ফুটবল খেলোয়াড়দের নাম এবং পজিশন সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে বাংলাদেশ ফুটবল খেলোয়াড়দের নাম এবং পজিশন সম্পর্কে জেনে আসি..
ক্রমিক নাম্বার | নাম | পজিশন |
০১ | জামাল ভূঁইয়া | মিডফিল্ডার |
০২ | শেখ মুরসালিন | মিডফিল্ডার |
০৩ | রাকিব হোসাইন | ফরওয়ার্ড |
০৪ | তারিক কাজী | ডিফেন্ডার |
০৫ | তপু বর্মন | ডিফেন্ডার |
০৬ | মোহাম্মদ সা’দ উদ্দিন | ডিফেন্ডার |
০৭ | মিতুল মারমা | গোলকিপার |
০৮ | সোহেল রানা | মিডফিল্ডার |
০৯ | বিশ্বনাথ ঘোষ | ডিফেন্ডার |
১০ | ফয়সাল আহমেদ ফাহিম | ফরওয়ার্ড |
১১ | মোহাম্মদ ইব্রাহিম | ফরওয়ার্ড |
১২ | রহমত মিয়া | ডিফেন্ডার |
১৩ | রিমন হোসাইন | ফরওয়ার্ড |
১৪ | সুমন রেজা | ফরওয়ার্ড |
১৫ | মোহাম্মদ হৃদয় | মিডফিল্ডার |
১৬ | রবিউল হাসান | মিডফিল্ডার |
১৭ | ইসা ফয়সাল | ডিফেন্ডার |
১৮ | আনিসুর রহমান জিকো | গোলকিপার |
১৯ | মোহাম্মদ সোহেল রানা | মিডফিল্ডার |
২০ | মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ | মিডফিল্ডার |
২১ | সুজন হোসাইন | গোলকিপার |
২২ | মতিন মিয়া | মিডফিল্ডার |
২৩ | মেহেদী হাসান শ্রাবন | গোলকিপার |
২৪ | মুজিবুর রহমান জনি | মিডফিল্ডার |
২৫ | শাহরিয়ার ইমন | ফরওয়ার্ড |
২৬ | দ্বীপক রায় | ফরওয়ার্ড |
২৭ | সুশান্ত ত্রিপুরা | ডিফেন্ডার |
২৮ | চন্দন রায় | মিডফিল্ডার |
২৯ | সৈয়দ শাহ কোয়াজেম | মিডফিল্ডার |
৩০ | মাহফুজ হাসান প্রীতম | গোলকিপার |
৩১ | মোঃ রাব্বি হোসেন রাহুল | ফরওয়ার্ড |
৩২ | আমিনুর রহমান সজীব | ফরওয়ার্ড |
৩৩ | মেহেদী হাসান মিঠু | ডিফেন্ডার |
৩৪ | মোহাম্মদ পাপ্পু হোসাইন | গোলকিপার |
৩৫ | মোঃ তাজ উদ্দিন | ডিফেন্ডার |
৩৬ | জায়েদ আহমেদ | মিডফিল্ডার |
৩৭ | শাকিল হোসাইন | মিডফিল্ডার |
৩৮ | আরমান ফয়সাল আকাশ | ফরওয়ার্ড |
৩৯ | সাজ্জাদ হোসাইন | ডিফেন্ডার |
৪০ | হাসান মুরাদ | ডিফেন্ডার |
৪১ | রফিকুল ইসলাম | ফরওয়ার্ড |
৪২ | আলমগীর মোল্লা | ডিফেন্ডার |
বাংলাদেশের ফুটবলারদের কার কেমন মার্কেট ভ্যালু
আপনি যদি ইউরোপীয় ফুটবল সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে ফুটবল খেলোয়াড়দের মূল্য সম্পর্কে অবশ্যই আপনার একটা ধারণা আছে। মেসি, নেইমার, রোনালদো এবং এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়দের কে নিজেদের দলে ভেড়াতে মরিয়া সমস্ত ক্লাব। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনা। ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের কথা আজকে না আর না বলি। আজকে কথ বলবো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মূল্য নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে আসি কোন খেলোয়াড়ের কেমন মার্কেট ভ্যালু..
মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া
ফুটবলের পোস্টার বয় কে? এই প্রশ্নের উত্তরে সবাই একসাথে বলে উঠবে জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশের পোস্টার বয়। দারুন ফুটবল খেলেন তিনি। বাংলাদেশের ফুটবল দলেট ক্যাপটেন হওয়ার পাশাপাশি দেশের বাহিরের বড় বড় ক্লাবের সাথেও যুক্ত আছেন তিনি। কিছুদিন লা লিগার ম্যাচ বিশ্লেষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু তুলনামূলক কম মার্কেট ভ্যালু এই খেলোয়াড়ের। ১ লাখ ২৫ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছেন জামাল ভূঁইয়া।
গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো
বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেন আনিসুর রহমান জিকো। ২৪ বছরের এই খেলোয়াড় বর্তমানে বাংলাদেশের পোস্টার বয়। বাংলাদেশের সমস্ত খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি মার্কেট ভ্যালু ক্যারি করা খেলোয়াড় জিকো। প্রায় ২ লাখ ইউরোতে বিক্রি হয়েছেন এই খেলোয়াড়।
গোলকিপার শেখ রাসেল
রহমতগঞ্জ ক্লাবের হয়ে খেলেন শেখ রাসেল। শেখ রাসেলের মূল্য বছরের মাঝামাঝিতে অনেকটা বাড়লেও বছর শেষ না হতে আবার ও কমেচে অনেকটা। ১ লাখ ২৫ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছে শেখ রাসেল।
গোলকিপার শহিদুল
অন্যান্য খেলোয়াড়ের মতো শহিদুল এর দাম মোটামুটি বেশ ভালোই। শেখ রাসেলের মতো শহিদুল ও ১ লাখ ২৫ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছেন।
ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত
লেফটব্যাক ডিফেন্ডার ইয়াসিনকে দলে নেওয়ার জন্য অনেক ক্লাব আগ্রহ দেখলেও বসুন্ধরা কিংস তাদের দলে ভিড়িয়েছে ইয়াসিন কে। দারুণ ফর্মে থাকা ইয়াসিনের মার্কেট ভ্যালু ১ লাখ ৭৫ হাজার ইউরো।
ডিফেন্ডার তপু বর্মণ
বাংলাদেশের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন তপু। ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছেন এই সেরা খেলোয়াড়।
আরো পড়ুন: সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে?
রহমত মিয়া
ফুলব্যাক রহমত মিয়ার মার্কেট ভ্যালু ১ লাখ ২৫ হাজার ইউরো।
সমস্ত খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাবে। এজন্য সর্বোচ্চ মার্কেট ভ্যালু ক্যারি করা এই ক’জন খেলোয়াড়দের নিয়েই আলোচনা করলাম।
কাজী সালাহউদ্দিন বাংলাদেশের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ১৯৭৯ সালে হংকং এর হয়ে পেশাদার ফটবল খেলেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
আমাদের সাথে থাকুন।
স্বাধীন স্পোর্টস (Sadhin Sports)